খেজুর গুড় এক ধরনের গুড় যা খেজুরের রস থেকে তৈরি করা হয়। বাংলা অগ্রহায়ণ মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়। খেজুরের উত্তাপে রসকে ঘন ও শক্ত পাটালিগুড়ে পরিণত করা হয়। ধরন অনুযায়ী খেজুরের গুড়কে ঝোলা গুড়, দানাগুড়, পাটালি, চিটাগুড় ইত্যাদি ভাগে ভাগে ভাগ করা যায়।
খেজুর রস এবং গুড় খুবই সুস্বাদু। শীতকালে খেজুরের রস ও গুড় দিয়ে পায়েস, বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন পিঠা, তালের পিঠা, খেজুর গুড়ের জিলাপি ইত্যাদি তৈরি হয়ে থাকে। স্বাদ আর মানভেদে খেজুরের গুড় পাটালি,, নলেন গুড়, হাজারী গুড় নামে পরিচিত।
খেজুরের খাঁটি গুড় চিনবেন যেভাবেঃ
পৌষের শীতে ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা বানানোর উৎসব। আর পিঠাকে সুস্বাদু করতে খেজুরের গুড়ের তুলনা নেই। খেজুরের গুড় পিঠার স্বাদ বাড়ায়। কিন্তু যারা ভরসা করেন বাজারের গুড়ে, তাদের খানিকটা সাবধান থাকতেই হবে। কারণ অনেক সময় বেশি মিষ্টি করার জন্য গুড়ে মেশানো হয় কৃত্রিম চিনি, কখনওবা রঙ আকর্ষণীয় করতে মেশানো হয় কৃত্রিম রঙ। জেনে নিন খাঁটি গুড় চেনার উপায়।
১. খেজুরের রস জ্বাল দেওয়ার সময় চিনি মেশানো হয় না। প্রাকৃতিকভাবেই গুড় হয় সুস্বাদু ও মিষ্টি। তবে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী খাঁটি রস না দিয়ে পানি মিশিয়ে জ্বাল দেন। ফলে গুড় মিষ্টি করার জন্য মেশাতে হয় চিনি। চিনি মেশানো গুড় শক্ত হয়। কেনার সময় সামান্য অংশ ভেঙে দেখুন। নরম হলে বুঝবেন গুড় খাঁটি।
২. গাঢ় খয়েরি রঙের হয় খেজুরের গুড়। রঙ অন্যরকম হলে সেটা খাঁটি হওয়ার নিশ্চয়তা নেই।
৩. খাঁটি খেজুরের গুড় খুব বেশি উজ্জ্বল ও ঝকঝকে হয় না।
৪. মুখে দিয়ে দেখুন স্বাদ নোনতা কিংবা তিতা কিনা। পুরনো ও ভেজাল গুড় নোনতা হয়। আর অতিরিক্ত জ্বাল দেওয়ার ফলে তিতা ভাব চলে আসে গুড়ে।
হায্য করে। ফলে সর্দি, কাশি, ভাইরাল ফিবারের হাত থেকে রক্ষা করে ও শরীর গরম রাখে।
There are no reviews yet.