আবু কাতাদা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. কে সোমবার দিন রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি বলেন “এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনেই আমি নবুয়্যত পেয়েছি।” রাসূলুল্লাহ সা. এর জন্ম নিঃসন্দেহে উম্মাতের জন্য মহা আনন্দের বিষয়। তবে এ আনন্দ প্রকাশ যদি রাসূলুল্লাহ সা. ও তাঁর সাহাবীগণের সুন্নাত অনুসারে হয় তাহলে তাতে সাওয়াব হবে। রাসূলুল্লাহ সা. এর মীলাদ বা জন্মে আমাদের আনন্দ রাসূলুল্লাহ সা. ও তাঁর সাহাবীগণের সুন্নাত অনুসারে করতে পারলে আমরা এতে অফুরন্ত সাওয়াব ও বরকত লাভ করতে পারব। মীলাদ পালনের সুন্নাত পদ্ধতি হলো প্রতি সোমবার সিয়াম পালনের মাধ্যমে আল্লাহর দবরারে শুকরিয়া জানানো। রাসূলুল্লাহ সা. নিজে আমাদের এ পদ্ধতি শিখিয়েছেন। এ ছাড়া আমরা দেখেছি যে, মূসা (আ) ও পরবর্তীকালে রাসূলুল্লাহ সা. আশূরার দিন সিয়াম পালন করেছেন। রাসূলুল্লাহ সা. এর মীলাদ বা জন্মে আনন্দ প্রকাশের দ্বিতীয় সুন্নাত পদ্ধতি হলো সর্বদা তাঁর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করা। তিনি আমাদের জন্য যা করেছেন আমরা জীবন বিলিয়ে দিলেও তাঁর সামান্যতম প্রতিদান দিতে পারব না, কারণ আমরা হয়ত আমাদের পার্থিব সংক্ষিপ্ত জীবনটা বিলিয়ে দিলাম, কিন্তু তিনি তো আমাদের পার্থিব ও পারলৌকিক অনন্ত জীবনের সফলতার পথ দেখাতে তাঁর মহান জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তাই রাসূলুল্লাহ সা. এর প্রতি আমাদের নূন্যতম দায়িত্ব যে আমরা সর্বদা তাঁর জন্য সালাত ও সালাম পাঠ করব। আল্লাহর যিক্র ও সালাত সালামের জন্য ওযু করা শর্ত নয়, তবে তা উত্তম। বসে, শুয়ে, দাঁড়িয়ে, হাঁটতে হাঁটতে, ওযুসহ বা ওযুছাড়া সর্বাবস্থায় সালাত-সালাম পাঠ করতে হবে।
বিভিন্ন সহীহ হাদীস থেকে জানা যায় যে, একবার সালাত পাঠ করলে বান্দা নিম্নের সাত প্রকার পুরস্কার লাভ করে: একবার দরুদ পাঠ করলে
(১) মহান আল্লাহ দরুদ পাঠকারীর দশটি গোনাহ ক্ষমা করেন
(২) দশটি সাওয়াব দান করেন
(৩) দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন
(৪) দশটি রহমত দান করেন
(৫) ফিরিশতাগণ তার জন্য দু‘আ করতে থাকেন
(৬) ফিরিশতাগণ পাঠকারীর নাম ও তার পিতার নামসহ তার সালাত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর পবিত্র রাওযায় পৌঁছে দেন
(৭) তিনি নিজে এবার সালাত পাঠকারীর জন্য ১০ বার দুআ করেন। বেশি বেশি সালাত পাঠকারীর জন্য রয়েছে অতিরিক্ত দুটি পুরস্কার: প্রথমত আল্লাহ তার সমস্যা ও দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দিবেন এবং দ্বিতীয়ত: রাসূলুল্লাহ (সা.) এর শাফায়াত তাঁর পাওনা হবে।সালাতের সাথে সাথে সালাম পাঠ করতে হবে। …..
বিভিন্ন সহীহ হাদীস থেকে জানা যায় যে, একবার সালাত পাঠ করলে বান্দা নিম্নের সাত প্রকার পুরস্কার লাভ করে: একবার দরুদ পাঠ করলে
(১) মহান আল্লাহ দরুদ পাঠকারীর দশটি গোনাহ ক্ষমা করেন
(২) দশটি সাওয়াব দান করেন
(৩) দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন
(৪) দশটি রহমত দান করেন
(৫) ফিরিশতাগণ তার জন্য দু‘আ করতে থাকেন
(৬) ফিরিশতাগণ পাঠকারীর নাম ও তার পিতার নামসহ তার সালাত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর পবিত্র রাওযায় পৌঁছে দেন
(৭) তিনি নিজে এবার সালাত পাঠকারীর জন্য ১০ বার দুআ করেন। বেশি বেশি সালাত পাঠকারীর জন্য রয়েছে অতিরিক্ত দুটি পুরস্কার: প্রথমত আল্লাহ তার সমস্যা ও দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দিবেন এবং দ্বিতীয়ত: রাসূলুল্লাহ (সা.) এর শাফায়াত তাঁর পাওনা হবে।সালাতের সাথে সাথে সালাম পাঠ করতে হবে।
সাহাবায়ে কেরাম আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সা. এর প্রতি ভক্তি, ভালবাসা ও তা’যীমের সর্বোত্তম আদর্শ শিক্ষাদান করেছেন। তাঁরা প্রত্যেকে জীবনের প্রতিটি ক্ষণে সাধ্যমত রাসূলুল্লাহ সা. এর জীবন, কর্ম, আকৃতি, প্রকৃতি চিন্তা করতেন, তাঁর উপর সালাত ও সালাম পাঠ করতেন। তাঁরা সুযোগ পেলেই কয়েকজন একত্রিত হয়ে রাসুলুল্লাহ সা. এর জীবনী, সুন্নাত, সীরাত, শামাইল, তাঁর আকৃতি-প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করতে ভালবাসতেন। আমাদেরও দায়িত্ব হলো সুযোগ ও আবেগ মতো যত বেশি সম্ভব রাসূলুল্লাহ সা. এর জীবন কেন্দ্রিক মাহফিল ও মজলিস কায়েম করা। রাসূলুল্লাহ সা. কেন্দ্রিক যে কোনো আলোচনা তাঁর প্রতি আমাদের মহব্বত বৃদ্ধি করবে, যা আমাদের ঈমানের অন্যতম অংশ। এছাড়া আমাদের জীবনে আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নিয়ামত তাঁর মহান নবীর উম্মত হওয়ার সৌভাগ্য। এগুলো সর্বদা আলোচনা করা ও শুকরিয়া জানানো আমাদের একান্ত প্রয়োজন।
সাহাবী, তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ীগণ এই মাহফিলগুলো “মীলাদ” নামে করেননি। তাঁরা এ সকল মজলিসকে ‘যিকিরের মাহফিল’, ‘সুন্নাতের মাহফিল’, ‘হাদীসের মজলিস’, ‘সীরাতের মজলিস’ ইত্যাদি নামে করতেন। নাম বা পরিভাষার চেয়ে বিষয় বেশি গুরুতপূর্ণ। তবুও নাম ও পরিভাষার ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সা. ও সাহাবীগণের মধ্যে প্রচলিত নাম ও পরিভাষা ব্যবহার উত্তম। বাধ্য না হলে কেন আমরা তাঁদের রীতি, নীতি বা সুন্নাতের বাইরে যাব?
এ সকল মজলিসে আনুষ্ঠানিকতা না করে মহব্বত ও আবেগের সাথে সাহাবীগণের অনুকরণে সহীহ হাদীসের উপর নির্ভর করে রাসূলুল্লাহ সা. এর সুন্নাত, রীতি, কর্ম, জীবনী, বাণী, শিক্ষা, আকৃতি, উঠা-বসা, কোয়া, পোশাক পরিচ্ছদ, জন্ম, ওফাত, পরিবার-পরিজন ইত্যাদি সকল বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে আমাদের জন্য তাঁর মহব্বত, কষ্ট ইত্যাদি স্মরণ করে মহব্বত বৃদ্ধি ও সাহাবীগণের মত ক্রন্দনের চেষ্টা করতে হবে।
sayed kamiab hossain kafi –
আমাদের দেশে বরং বিভিন্ন দেশে রাসুলের আশেক দাবী করে কুরআন হাদিস বিরোধী কাজ করা একটা প্রথা হয়ে দাড়িয়েছে। যেসব কাজ সাহাবি-তাবিয়ি-তাবে তাবিয়িরা রাসুলের জন্য করে নি আমরা সেগুলো করে বড় অলি সাজি। দুঃখজনক ব্যাপার। লেখক তার বইয়ে এমনই একটি বিদআতকে উপস্থাপন করেছন, আলহামদু লিল্লাহ। আল্লাহ লেখককে উত্তম প্রতিদান দান করুক, আমিন।
sayed kamiab hossain kafi –
M Helal Uddin –
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ লেখককে উত্তম প্রতিদান দান করুন আমীন। আমাদের সমাজে যে সকল বিষয় নিয়ে দ্বন্দ রয়েছে তার মধ্যে ঈদে মিলাদুন্নবী অন্যতম। আর এই দ্বন্দ এত প্রকট হয়েছে যে যার ফলে মুসলমান এখন দলে দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর উম্মতের এই ক্রান্তিলগ্নে এই রকম একটি বই খুবই প্রয়োজন ছিল। আশাকরা যায় এর ফলে উম্মতের মধ্যে যে দ্বন্দ রয়েছে তা নিরসন হবে ইনশাআল্লাহ। তাই এই বইটি সকলের পড়া উচিত।
M Helal Uddin –
Mohammad Shahadat Sharit –
সমাজের বিদআত দূরীকরণে ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গির (রাহিমাহুল্লাহ) এর এই বইটি একটি কার্যকরী মাধ্যম।
Mohammad Shahadat Sharit –